রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানিং
কুন্তল চৌধুরী – সার্টিফায়েড ফাইনান্সিয়াল প্ল্যানার
Mobile
– 9433240927
জীবনের বেশ
কিছু অতি বাস্তব সত্যের মতো রিটায়ারমেন্টও এক পরম
সত্য। কিন্তু কতজন সেই
সত্যের সাথে মোকাবিলা করার
জন্য তৈরী করেছেন নিজেকে? এমন উত্তরও কখনও পেয়েছি “জো ভি হোগা দেখা
জায়েগা”!!! খুবই অবাক লাগে
এই অনীহা দেখে। একজন
ফাইনান্সিয়াল প্ল্যানার হিসাবে বিষয়টার গভীরে যাবার জন্য গত কয়েকমাসে বেশ কিছু বিভীন্ন বয়সী
মানুষের থেকে যে তথ্য
সংগ্রহ করি তার থেকে
অদ্ভুত একটা উত্তর আমার
কাছে উঠে আসে! অধিকাংশ সাধারন মানুষ সঠিকভাবে রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানিং এ আগ্রহী নন কারন – ক) তাঁরা সম্ভ্যাব্য প্রতিকুলতার জন্য ভীত অথবা খ) অজ্ঞানতাবশতঃ তাঁরা অতি
প্রত্যয়ী!
রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানিং এর জন্য কি প্রয়োজন?
কোনো জায়গায় যেতে হলে যেমন আমাদের প্রথম প্রয়জন হয়
জায়গাটি সঠিকভাবে নির্ধারন করা - এরপর সেখানে যাবার জন্য উপযুক্ত যান পছন্দ করতে
হয়, এখানেও ঠিক তেমনই করতে হয়। প্রতিটা ব্যক্তির জন্যই তাঁর
পছন্দ মাফিক পৃথক পরিকল্পনার প্রয়জন।
একজন গড়পড়তা সাধারন মানুষ 30 বছর রোজগার করে থাকেন। এই সময়কালে তাঁকে প্রচুর সমস্যার মোকাবিলা করতে হয়। যেমন নিয়মিত সংসারের জন্য খরচ, বাচ্ছাদের মানুষ
করার জন্য খরচ, বৃদ্ধ বাবা মার দায়িত্ব পালন ইত্যাদি
আরও অনেক কিছু। আর এসব কিছুর
পরে অধিকাংশের হাতেই খুব একটা বিশেষ কিছু অবশিষ্ট থাকেনা। আর সমস্যার শুরুও এখানেই। অনেকেই কিন্তু ভেবে দেখেননা অবসরের পরের 30 বছরের ব্যবস্হাও কিন্তু শুধুমাএ এই সময়েই তাঁকে করতে হবে!!!
অতি প্রত্যয়ীরা অনেকেই ভেবে থাকেন তাঁদের যা সন্চয় আছে
তা প্রয়জনের তুলনায় অধিক। দুই একটি
ব্যতিক্রম ছাড়া যা অধিকাংশ ক্ষেএেই সঠিক নয়। তাঁরা সবকিছু আজকের মূল্যে বিচার করেন –
inflation কি ভয়ঙ্কর ভূমিকা নিতে পারে তা অনেক সময়ই তাঁরা অনুধাবন
করতে পারেননা। 40 বছর বয়ষ্ক
কোনো মানুষের সংসার খরচ মাসিক 30000 টাকা হলে 60 বছর বয়ষে ওই খরচই তাঁর বেড়ে গিয়ে দাড়ায় 116000 টাকা ( 7% inflation rate) এবং 75 বছর বয়ষে তা হয় 320000 টাকা!
রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানিং কখন থেকে শুরু
করা উচিৎ ?
রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানিং এর আদর্শ সময় রোজগার শুরুর সময় থেকেই। এর থেকে
যত পরে আপনি তা শুরু করবেন ধীরে ধীরে আপনার বোঝাও তত বাড়তে থাকবে। একটা উদাহরনের
সাহায্যে বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করা যেতে পারে। মনে করা
যাক “ক” জায়গা থেকে 100 কিমি দূরবর্তী “খ” স্হানে আপনি যেতে চান এবং আপনার হাতে 20 ঘন্টা সময় আছে। এখেএে দুটি
কাজ আপনি করতে পারেন। 1) 5 কিমি/ ঘন্টা গতিবেগের
কোন যান আপনি পছন্দ করে ধীরে ধীরে মসৃন ভাবে গন্তব্যে যেতে পারেন অথবা 2) কিছুটা অধিক গতিবেগের ( more investment amount ) কোন যানে চড়ে সময়ের আগে গন্তব্যে পৌছে বিশ্রাম গ্রহন করতে
পারেন। কিন্তু ওই একই জায়গায় যাবার জন্য যদি আপনার মাএ 1 ঘন্টা সময় থাকে তবে আপনাকে 100 কিমি/ ঘন্টা গতিবেগের কোন যানেই যেতে হবে যার গতিও বেশী ( investment amount) এবং accident এর ঝুকিও
বেশী। তবে
ALWAYS IT IS BETTER TO BE LATE THAN NEVER
Superb analysis.I wish I could get such advice in my service life.
ReplyDelete