ইনভেস্টমেন্ট করার আগে দু-একটা বিষয় আপনাদের ভালো করে জেনে রাখা উচিত - আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি এই টাকাটা আপনাদের খুব কষ্টার্জিত টাকা।এক পারসেন্ট বেশি রিটার্নের থেকে এক পারসেন্ট বেশি প্রটেকশন অনেক বেশি দরকার এবং ইকুইটি ইনভেস্টমেন্টে রিটার্ন অটোমেটিক্যালি চলে আসবে যদি না আপনি কোন বড় ভুল করেন। কিন্তু প্রটেকশনটা খুব জরুরী। কাজটা খুব সহজ নয়, সহজ যদি হতো তাহলে তো সকলেই করে ফেলতেন। কিন্তু অধিকাংশই তা পারেন না কারণ তার জন্য কতগুলো সুশৃংখল পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। আমি আপনাকে সেগুলো একটু বলে হেল্প করব। যাতে আর পাঁচ জনের মতন আগামী দিনে আপনাকে কোন সমস্যায় পড়তে না হয়।
তিনটে বিষয় যদি মেনে চলেন আপনাদের ইনভেস্টমেন্টে খুব একটা সমস্যা হবে না। আমি এই তিনটে পয়েন্ট আপনাদের একটু বুঝিয়ে দিতে চাই।
প্রথম পয়েন্ট, ইনভেস্টমেন্টে সাফল্যের জন্য বিজনেস মেন্টালিটি লাগবে। বিজনেসে যেমন চড়াই-উতরাই থাকে আপনার এখানেও সেটা থাকবে। রাতারাতি বিজনেসে যেমন সফল হওয়া যায় না, এখানেও রাতারাতি সফল হওয়া যাবে না। বিজনেসের যেমন একটা cost থাকে এখানেও cost থাকে - তবে টাকা দিয়ে নয়, ইনভেস্টমেন্টের cost হল ভোলাটিলিটি। Volatility বাদ দিয়ে বেশি রিটার্ন আনা সম্ভব না। অনেকে অনেক চেষ্টা করেছেন সফল হননি।volatility আপনাকে মেনে নিতেই হবে।
পয়েন্ট নাম্বার দুই - ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা আপনাকে প্রথমেই জেনে নিতে হবে। আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় ইকুইটি ইনভেস্টমেন্টে কিছু রিস্ক কি আছে? উত্তর হ্যাঁ বা না দুই হতে পারে। ইকুইটিতে ঝুঁকি বলতে আমরা প্রধানত ভোলাটিলিটিকেই বুঝি। Short term এ এই ঝুঁকি যথেষ্ট বেশি, কিন্তু সময় যত বাড়তে থাকবে ভোলাটিলিটি ততই কমতে থাকবে। আপনার ঝুঁকিও কমতে থাকবে। ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে প্রতি চার বছরে তিন বছর ইকুইটি পজিটিভ রিটার্ন দেয়। ফলে মানুষ যতটা মনে করে ততটা রিস্ক কিন্তু এখানে নেই।
পয়েন্ট নম্বর তিন - বিনিয়োগে সাফল্যের চাবিকাঠি কি? a) যুক্তিগ্রাহ্য রিটার্ন প্রত্যাশা করুন। b) ভোলাটিলিটিকে মেনে নিন। c) বিনিয়োগে সময় দিন - একটু বেশি সময়ের জন্য বিনিয়োগ করুন। d) আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসেট অ্যালোকেশনের নিয়ম মেনে চলুন - কোন খাতে কত শতাংশ বিনিয়োগ করছেন সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকের মানসিকতা ভিন্ন ভিন্ন - আপনার মানসিকতা অনুযায়ী আপনার পোর্টফোলিও হতে হবে। বেশি দামের লাফালাফি যদি আপনাকে কষ্ট দেয়, আপনাকে তার থেকে রেহাই দিতেই হবে। তার জন্য আপনাকে আপনার পোর্টফোলিও থেকে ইকুইটি কমাতে হবে , রিটার্নও একটু কম প্রত্যাশা করতে হবে। একই সাথে রিটার্ন বেশি নেব আর পোর্টফোলিওতে ভোলাটিলিটিও কম নেব এটা সম্ভব না। এ নিয়ে অতীতে অনেক কিছু চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু কেউই সেই ভাবে সফল হতে পারেননি। দিনের শেষে মনে রাখতে হবে, সেই পোর্টফোলিওই ভালো যা আপনাকে শান্তিতে ঘুমোতে দেবে। কোন পোর্টফোলিও যদি একরাতও আপনার শান্তিতে ঘুমের বিঘ্ন ঘটায় সেটা আর যাই হোক, ভালো পোর্টফোলিও নয়।
All should read this article
ReplyDeleteVery important & candid note that may help grooming a prospective investor.
ReplyDeleteVery good information
ReplyDeleteVery useful article
ReplyDeleteNice
ReplyDeleteKuntalda, we trust you. I think one percent is not matter but protection of my money is very very important. That's why we like your plan how to control our money safely.
ReplyDeleteভালো লিখেছেন কিন্তু লোভের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া শক্ত
ReplyDeleteDada, you have explained nicely and ultimately Sahi-hai.
ReplyDeleteসকলকে মতামতের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ReplyDeleteVery crrect advice for investors
ReplyDeleteVery thoughtful
ReplyDelete